প্রেক্ষাপটঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুণ্ণেছা মুজিব-এর নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জের “শেখ ফজিলাতুণ্ণেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান”। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এই প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁরই উদ্যোগে গোপালগঞ্জ ও সন্নিকটে অবস্থিত একুশ জেলার জনগণকে চক্ষু সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে গোপাল গঞ্জ সদর হাসপাতালে সীমিত সুবিধাদি নিয়ে শেখ ফজিলাতুণ্ণেছা মুজিব নামে একটি চক্ষু সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সাইট সেভার ইন্টারন্যাশনাল নামে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি দাতব্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু ২০০১ সালের দিকে এই কেন্দ্রটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ জেলা এবং এর নিকটবর্তী এলাকার জনগণকে প্রয়োজনীয় চক্ষু সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট “শেখ ফজিলাতুণ্ণেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জ” স্থাপনের নিমিত্তে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছিলো।
প্রকল্পের পরিচিতিঃ
• প্রকল্পের নামঃ শেখ ফজিলাতুণ্ণেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন, গোপালগঞ্জ
• উদ্যোগী মন্ত্রনালয়ঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
• বাস্তবায়নকারী সংস্থাঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
• বাস্তবায়নকালঃ মে ২০১০ হতে জুন ২০১৫
প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্দেশ্যঃ
• প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার জন্য একটি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা;
• নার্স, প্যারামেডিক এবং ডাক্তারদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের ব্যবস্থা করা;
• চক্ষু সংক্রান্ত রোগের বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা ও সংগঠিত করা;
• চক্ষু বিষয়ক বিশেষায়িত সেবা সার্বজনীন করা;
• চক্ষু সেবায় গুনগত সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করে শহরে প্রতিষ্ঠিত চক্ষু হাসপাতালগুলোর উপর রোগীর চাপ হ্রাসকরণ; এবং
• দূরবর্তী অঞ্চলের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর সাথে কার্যকর রেফারাল পদ্ধতি গড়ে তোলা।
প্রকল্প শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু করে ২০১৫ সালে। “শেখ ফজিলাতুণ্ণেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান” ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস